সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর): জামালপুরের বকশীগঞ্জে বন্যার পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নুতন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে সাধুরপাড়া, মেরুরচর , বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যার্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী খান পাড়া, মেরুরচর ইউনিয়নের উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলনগর , গমের চর গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে ৫০ টি পরিবারের বসত ভিটা হারিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন জনপ্রতিনিধিরা।
তবে বন্যার্ত এলাকায় যে পরিমান ত্রাণ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন সে পরিমান ত্রাণ পৌঁছে নি বলে জানিয়েছেন বন্যায় আক্রান্তরা।
এদিকে বন্যার পানি বাড়ার সাথে রোপা আমনের ক্ষেত দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের মধ্যে ব্যাপক দুুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর আজাদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার হেক্টর রোপা আমন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যেহেতু বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে সেহেতু কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু জানান, বন্যাতদের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে নগদ এক লাখ টাকা, ৫ মেট্রিক চাল , ১৫০ পেকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে। নদী ভাঙন সহ বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।